ঈদের পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নতুন গয়না চাই নারীদের। আর সেজন্য জমে উঠেছে শপিং মল ও অনলাইন শপগুলো।
সোনা, রূপা, হীরের গয়না তো রয়েছেই। পিছিয়ে নেই কাঠ, পুতি, তামা, মাটি, সুতা, পাথর, কাপড়, কাঁচ তৈরি গয়নাও। যার যার চাহিদা ও সামর্থ্য অনুযায়ী কিনে নিচ্ছেন পছন্দের গয়নাটি। ফ্যাশন হাউজগুলোতে পিতল, ব্রোঞ্জ, অক্সিডাইস, পার্ল প্রভৃতি ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে আধুনিক ফ্যাশনেবল অলঙ্কার। গয়নার আকারেও রয়েছে নতুনত্ব। কমদামের মধ্যে এসব গয়নার দিকে ঝুঁকছেন অল্পবয়সী তরুণীরা।
কানের দুল ছাড়া ঈদের সাজ যেন অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এবার ঈদে কানের দুলের ক্ষেত্রে একটু ভিন্ন ধরনের ফ্যাশন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশীয় কাঠ-পুতি কিংবা রুপার ওপর গোল্ড প্লেট করা নয় বরং মেটালের ভারী দুলে স্টোন বসানো কিংবা মিনা করা আফগানী দুলগুলো খুব চলছে এবার। সেই সাথে চলছে ফেসবুকের বিভিন্ন অনলাইন শপের নান্দনিক ডিজাইনের রুপার জমকালো গহনা। গহনা গুলোতে মুঘল ডিজাইনের প্রভাব লক্ষ্য করার মতো।
কানে যদি হালকা গহনা বেছে নিয়ে থাকেন তাহলে গলায় পড়ুন জমকালো হার। এবার ঈদে গলার জন্যও বিক্রি হচ্ছে জমকালো ডিজাইনের হার। অনলাইন শপগুলো রুপার সীতা হার বিক্রি করছে। সেই সাথে চলছে লেস এবং মেটালের চকার। বেশ জমকালো মেটালের নেকলেসের সাথে রঙবেরঙের সুতার টারসেল লাগিয়ে ফিউশন তৈরি করা হয়েছে। এই গয়নাগুলো শাড়ি, কামিজ কিংবা ওয়েস্টার্ন সব ধরনের পোশাকের সাথেই খুব মানানসই।
চুড়িতেও চলছে মেটালের জয়জয়কার। রাজকীয় ডিজাইনের রুপা কিংবা পিতলের বালা চলছে ঈদে। সেই সাথে চলছে রেশমি সুতা পেঁচানো রঙবেরঙের চুড়ি। এছাড়াও বিডসের রঙিন ব্রেসলেটও চলছে ঈদে যা ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে দারুণ মানানসই।
নাকের নথে পান্না, রুবি, মুক্তা কিংবা পাথর বসিয়ে ডিজাইন করা এই নথগুলো ফ্যাশন সচেতনদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে আছে। স্টাইলিশ এই নথগুলো পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছু ফ্যাশন হাউজে এবং গাউসিয়া, মৌচাক মার্কেট, বসুন্ধরা সিটিতে।